ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অপারেশন সম্পন্ন // উল্টো জামায়াত-শিবিরের অভিযোগ এনে থানায় মামলা - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অপারেশন সম্পন্ন // উল্টো জামায়াত-শিবিরের অভিযোগ এনে থানায় মামলা

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অপারেশন সম্পন্ন // উল্টো জামায়াত-শিবিরের অভিযোগ এনে থানায় মামলা  


মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলেই যা হয় , তার বাস্তব প্রমান মিললো রংপুরের  পীরগাছা উপজেলা কৈকুড়ী ইউনিয়নে ,হাবিবুর রহমান শামিম নামে এক তরুন স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে মোবাইল ফোনে নিজের অসহায় পরিবারের উপর নির্যাতনের কথা বলেন, তার কথা গুলো হুবাহুব ভাবে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। তার আগেই বলে নেই হাবিবুর রহমান শামিম শুক্রবার রাতে সংবাদিকদেরকে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করতে একটি মহল হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে বলে জানান। পাঠকদের জন্য তার বলা কথাগুলো তুলে ধরা হল শুধু তাই নয় জামায়াত শিবির অভিযোগ এনে তাদের পরিবারে সবার নামে পর্যন্ত মামলা করা হয়েছে,অথচ প্রকৃত ঘটনা হল আলাদা ব্যাপার ।
হাবিবুর রহমান শামিম বলেন (শুক্রবার) আজ সারাদিন ওরা বাড়ির আশেপাশে ঘুরছে আর হুমকি দিয়েছে। আগেও সব সময় হুমকি দিত হয়রানিমুলক মামলা দেবে তা দিয়েছে। এখন যে কি হবে। তিনি এসময় বলেন, অনেকদিন থেকেই আমার ছোট বোনকে আকাশ মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আটকাতো, নোংড়া ভাষায় কথা বলতো, মাদ্রাসায় গিয়ে ডিস্টার্ব করতো।সর্বশেষ ১৮.০৩.১৭ তারিখ সন্ধ্যার দিকে ছোট বোন আমাদের বাড়ীর পিছনে কচু ক্ষেতে পানি দিতে গেলে আকাশ তাকে আটকিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং বলে যদি চিল্লা চিল্লি করে তাহলে পাশে দাড়িয়ে থাকা আপেলকে ডাকবে। অতঃপর আমার ছোট বোনের ওর্না ধরলে সে সেখান থেকে ওর্না রেখে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়।  পরদিন ১৯.৩.১৭ ইং তারিখে ছোট বোন মাদ্রাসায় গেলে আকাশ মাদ্রাসায় বন্ধুদের মাঝে খারাপ কথা ছড়ায়। এই সংবাদ আমার ছোট ভাইয়ের (হামিদুল ১০ম শ্রেণি) কাছে আসলে সে সন্ধ্যার দিকে আকাশকে দেখা পেলে তার কাছ থেকে ওর্নাটি উদ্ধার করে। আগেও আকাশের পরিবারে সতর্ক করা হয়েছিল কিন্তু তারা বলেছে আমাদের ছেলে, কোন ভয় নেই। যাইহোক যেদিন ওর্নাটি উদ্ধার করা হয় সেদিন রাত ১১.০০ টায় সবাই যখন ঘুমে তখন তারা আকাশের বাবা মোতালেব, চাচা রায়হান, কারিম, জইদুল, শহিদুল, শামসুল সহ আশেপাশের মানুষদের নিয়ে দলবেধে হই দিয়ে আমাদের বাড়ি আক্রমণ করে এ সময় তারা আমার বাবার নাম ধরে বলে, বের হয়ে আয় লাশ করে দেব। এ সময় তারা তাদের হাতে থাকা লাঠি শোটাসহ দেশিও অস্ত্র দিয়ে আমাদের বাড়ির গেট, টিনের বেড়া ক্ষতিগ্রস্থ করে। সেই সময় আমাদের বাড়ির কেউ বের হয় নি।
এরপর তারা কেউ না বের হলে পরামর্শ করে আকাশকে পিরগাছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর হুমকি দিয়ে যায় বের হলেই মারবে এবং হয়রানিমূলক মামলা দেবে জামাত শিবিরের মামলা দেবে। পরদিন আকাশের চাচা আজিজ ঢাকা থেকে এলাকায় যায় এবং আমাদেরকে বলে মীমাংসা করবে আবার বলে আমি থাকতে কোন সমস্যা হবে না। এরপর ২৩.৩.১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার আমি বাড়িতে গিয়ে আজিজের সাথে দেখা করি। সেখানেও তিনি মীমাংসার কথা বলেন। তিনি বলেন পরদিন শুক্রবার ২৪ তারিখ দুপুরে বসে মীমাংসা করবেন। শুক্রবার আমার বাবা ছোটভাই হামিদুল সহ দাওয়াত খেয়ে আসার পথে ৮.৩০ এর দিকে কারিম ওদেরকে সংবাদ দিলে মোতালেব রায়হান এবং রফিকুল দেশিও অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাবার সামনে তারা হামিদুলকে সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত করে অই অবস্থায় পীরগাছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা রংপুরে রেফার্ড করে সেখানে এখনো চিকিৎসা করা হচ্ছে । হাত ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে গতকাল তার অপারেশন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪.০৩.১৭ইং তারিখ একটা মামলা করা হয় পীরগাছা থানায়। ২৫ তারিখ মামলা ।রেকর্ড করা হয়। তারপর এই ঘটনা ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানতে পারলে তারা এটা মীমাংসা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সবাইকে নিয়ে ০২.০৪.১৭ তারিখ রোজ রবিবার বাড়ির সামনের ইটভাটায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তারা পরদিন মীমাংসায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং বলে তারা হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করবে। এরপর তারা আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে। (সেখানে আমার বাবা মা ভাইবোন সকলকে অভিযুক্ত করে অথচ আমার তিন বোন বিয়ের পর শশুর বাড়িতে থাকে আমি ঢাকায় এক প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। এক ছোটভাই রংপুর থেকে এইচ এস সি পরিক্ষা দিচ্ছে যে আহত সে হিফজ শেষ করার পর ঢাকার উত্তরায় এক মাদ্রাসায় পড়ে। বাড়িতে থাকে বাবা যিনি এক মাদ্রাসার সহসুপার মা গৃহিনী ছোট দুই বোন পড়াশুনা করে। এই ঘটনার পর ছোট বোন আর মাদ্রাসায় যেতে পারে না ভয়ে।)  এইসব ঘটনা ইউনিইয়ন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সভাপতি মোঃ ফিরোজ, সেক্রেটারি নুরুন্নবি সহ নুর আলম, ঠান্ডা মিয়া সহ গন্যমান্য অনেকেই জানেন।
আসল কথা হচ্ছে তারা ইভটিজিং সহ মূল অপরাধ গোপন করার জন্য বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং তারই অংশ হিসেবে তারা এফ এন এন ২৪ সহ কিছু পত্রিকায় সাংবাদিকদেরকে ভুলতথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন । আমি এসব সংবাদের তীব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জান্নাছি। সেই সব সংবাদে বলা হয়েছে । এক মাস আগে শামীম তার প্রতিবেশি মোতালেব মিয়ার ছেলে স্কুল ছাত্র আকাশ (১৫)’কে ছাত্র শিবিরে যোগাদানের প্রস্তাব দিয়ে তাদের গোপন বৈঠকে যেতে বলে। এতে রাজি না হলে শামীম হুমকী ধামকী প্রদান করে। এরপর মার্চ রাত্র ৮টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে স্কুল ছাত্র আকাশকে অপহরন করে নিয়ে যায় শামীম ও তার ১০/১২ জন সহযোগি। তারা আকাশকে পার্শ্ববর্তি একটি ইটভাটা সংলগ্ন বাঁশ বাগানে হাত-পা ও মুখ বেধে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় ইটভাটার শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন ঘটনা টের পেয়ে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তারা গুরুতর জখমী অবস্থায় স্কুল ছাত্র আকাশকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনার শনিবার পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ওই জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবহৃত ২টি বইসহ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেন। অথচ পাঠকরা আসল ঘটনা জানতে পারলো না বিষয়টি খুবেই কষ্ট দিয়েছে আমাকে। এখানোও জামায়াত- শিবিরানা হয়েছে

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here