ফলোআপ
বয়লার বিস্ফোরণের ৭ দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫
বিশেষ প্রতিনিধি.দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এনামুল হক (৪০) মারা যান।এরআগে ঘটনার দিন গত বুধবার বিকেল ৫টায় অঞ্জনা দেবী (৪০) নামে এক নারীসহ ওই দিন রাত ৮টার দিকে মোকছেদ আলীর (৫৫) ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আরিফুল হক (৩০) এবং শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রুস্তম আলীর (৪৫) মৃত্যু হয়।পরে অটোমেটিক রাইস মিলের ম্যানেজার রনজিৎ বসাসকে (৫০) গত শুক্রবার এবং দেলোয়ার হোসেনকে (৪০) শনিবার সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে রনজিৎ এবং শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দেলোয়ার মারা যান।এছাড়াও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে শফিকুল ইসলাম (৩০) এবং রোববার দুপুর ১২টার দিকে উদয় চন্দ্র (৫৫), ২টার দিকে দুলাল চন্দ্র (৪০), রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুকুল (৪৬) ও সাড়ে ৭টার দিকে মুন্না (৩২) রমেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং রিপন (৩০) সাড়ে ৬ টায় দিনাজপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।পরে সোমবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোরঞ্জন রায় (৪৫) এবং মঙ্গরবার রাত সাড়ে ১১টায় মাজেদুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়।নিহতদের মধ্যে মোকছেদ, রুস্তম ও দেলোয়ার আপন ৩ ভাই। তাদের আরেক ভাই বাদলও দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। ওই চারভাই দিনাজপুরের ভবানীপুর গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের সদর উপজেলায় যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২৮ জন শ্রমিক আহত হন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন