দোজগে শাস্তি ভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় জান্নাতে প্রবেশ করবে----এটি একটি ভ্রান্ত আকিদা। - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭

দোজগে শাস্তি ভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় জান্নাতে প্রবেশ করবে----এটি একটি ভ্রান্ত আকিদা।

দোজগে শাস্তি ভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর

পুনরায় জান্নাতে প্রবেশ করবে----এটি একটি ভ্রান্ত আকিদা।

=====================================

Zafar Ahamad
এ বিষয়টির প্রতি আমার শ্রদ্ধেয় ভাই মোহসীন ভূঁইয়া দৃস্টি আকর্ষণ করে আমাদের চৈতন্য ঘটিয়েছেন। আমি তার বিভিন্ন বিষয়ে পরিশ্রমী ধারাবাহিক লেখা গুলো মনোযোগের সাথে পড়ে থাকি। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রান্তি নিরসন করে আমাদের কোরআন ও সহিহ হাদীস মোতাবেক Islamization of knowledge উপহার দিচ্ছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এ Post টি তার, তবে শুধু শেয়ার করলে
অনেকেই পড়তে চান না ----তাই আমি একটু সংশোধন করেছি মাত্র।

এ বিষয়ে ভুল ভাংগার জন্য কুরআন এর দৃস্টিভংগী তুলে ধরা জরুরী। বিষয়টি নিয়ে আলেম সমাজের বক্তব্য ও কুরআনের শুধু বিস্তর ফাঁরাক নয়----সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্যও বটে।
আলেম সমাজ কিছু হাদিসের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ের পক্ষে বললেও কুরআন বারংবার গ্যারান্টি দিয়ে বলছে----- “কিছুকাল দোজখে থাকার পর বেহেস্তে যাবার মতো কোন ঘটনা পরকালে ঘটবে না।”

আল কুরআনে প্রায় ৫০ টি সুরার শ’দুয়েক আয়াতে এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বর্ণনা রয়েছে। কলেবর বড় হবে বিধায় ১৮ টি সুরার ২৩ টি সুস্পষ্ট আয়াত এর রেফারেন্স ব্যবহার করে আলোচনা সংক্ষিপ্ত করার চেষ্ঠা করা হয়েছে।
আলোচনার সুবিধার জন্য সুরার নাম, অনুবাদ (ভাবার্থ) ও আয়াত নম্বর সহ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ--
১, সুরা বাকারা- আয়াত-৩৯- আর যারা অমান্য করবে আমাদের আয়াতসমূহ (কথা ও কাজের মাধ্যমে) মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে তারা হবে আগুনের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
২, সুরা বাকারা- আয়াত-৮১- বস্তুত যারা গোনাহ করবে এবং তাদের গোনাহ দ্বারা জড়িয়ে থাকবে (তওবা দ্বারা মাফ করিয়ে না নিয়ে বড় গুনাহ দ্বারা বেষ্টিত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে) তারা জাহান্নামী হবে, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে।
৩, সুরা বাকারা- আয়াত-১৬২- তারা চিরকাল তাতে (দোজখে) থাকবে; তাদের শাস্তি হ্রাস করা হবে না এবং তাদের প্রতি কোন (কৃপা) দৃস্টিও দেয়া হবে না।
৪, সুরা বাকারা- আয়াত-২১৭- তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের দ্বীন (ইসলাম) থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সমস্ত কর্মকান্ড বিফল হয়ে যাবে, এ সমস্ত লোকেরাই জাহান্নামের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
৫, সুরা নিসা- আয়াত-১৪- আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমালংঘন করবে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে চিরকাল থাকবে, আর তার জন্য রয়েছে অপমানকর শাস্তি।
৬, সুরা নিসা-আয়াত-১২১- তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম আর তা থেকে তারা নিষ্কৃতিও পাবে না।
৭, সুরা মায়েদা-আয়াত-৩৭- তারা আগুন থেকে বের হইতে চাইবে কিন্তু তারা সেখান থেকে বের হতে পারবে না; আর তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।
৮, সুরা আল আরাফ-আয়াত-৩৬- আর যারা আমাদের আয়াতসমূহকে (কথা ও কাজের মাধ্যমে) মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এবং সেগুলো সম্পর্কে অহংকার করে তারাই আগুনের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
৯. সুরা তওবা- আয়াত-৬৩- তারা কি জানেনা, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধীতা করে তার জন্য আছে জাহান্নামের আগুন সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে এটাই চরম লাঞ্চনা।
১০. সুরা হুদ- আয়াত-১০৭- সেখানে (দোযখের আগুনে) তারা স্থায়ী হবে যতোদিন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে, তোমার প্রতিপালকের অন্যরকম (অতাৎক্ষণিক) ইচ্ছা থাকলে ভিন্ন কথা; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা করেন, তা করতে পারেন।
১১. সুরা ইব্রাহীম-আয়াত-১৬-১৭- তাদের (কাফিরদের) সামনে রয়েছে জাহান্নাম এবং তাদের পূঁজের পানি মনে করানো হবে। যা সে অতি কষ্টে একেক ঢোকা গিলবে এবং তা গিলা সহজ হবে না, সবদিক থেকে তার কাজে আসবে মৃত্যু যন্ত্রনা কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না, আর এর পর রয়েছে কঠোর শাস্তি।
১২. সুরা ইব্রাহীম-আয়াত-২৯- জাহান্নাম, যার মধ্যে তারা প্রবেশ করবে; আর কত নিকৃষ্ট এ স্থায়ী আবাসস্থল।
১৩. সুরা হিজর- আয়াত-৪৩- আর জাহান্নাম তাদের (বিপদগামীদের) সবার জন্য প্রতিশ্রুত স্থান।
১৪. সুরা -ত্বহা- আয়াত-৭৪- নিশ্চয়ই যে তার প্রতিপালকের নিকট অপরাধী হয়ে (কবিরা গুনাহ নিয়ে) উপস্থিত হবে তার জন্য আছে জাহান্নাম; সেখানে তারা মরবেও না বাঁচবেও না।
১৫. সুরা আম্বিয়া- আয়াত-৯৯- আর তারা যদি সত্যিই মাবুদ (দুনিয়ার মাবুদ) হতো যাদের তোমরা গোলামী করতে, তাহলে আজ তারা কিছুতেই (জাহান্নামে) প্রবেশ করতো না; (উপস্য- উপাসক) সবাই তাতে চিরকাল ধরে অবস্থান করবে।
১৬. সুরা মুমিনুন-আয়াত-১০৩- আর যাদের নেক আমল কম (শুন্য) হবে (আমল নামায় কবীরা গুনাহ/ বড় গুনাহ থাকার করনে) তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, তারা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।
১৭. সুরা আস সাজদা-আয়াত-১৪- সুতরাং শাস্তি আচ্ছাদন করো, কারন আজকের এই সাক্ষাতের কথা তোমরা বিস্মৃত হয়েছিলে, আমরাও তোমাদের থেকে বিস্মৃত হয়েছি; তোমরা যা করতে তার জন্য তোমরা স্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে থাকো।
১৮. সুরা নাবা- আয়াত-২১-২৩- নিশ্চয়ই জাহান্নাম অপেক্ষায় আছে। সীমালংঘনকরীদের প্রত্যাবর্তনস্থল। সেখানে তারা যুগযুগ ধরে অবস্থান করবে।
১৯. সুরা ফাতির- ৩৬~আর যারা অমান্য করেছে (কবীরা গুনাহ সহ মৃত্যুবরণ করেছে) তাদের জন্য আছে জাহান্নামের আগুন, তাদের মৃত্যুর আদেশ দেয়া হবে না যে তারা মরবে এবং তাদের থেকে তার (জাহান্নামের) শাস্তিও লাঘব করা হবে না; এভাবে আমরা প্রত্যেক আমান্যকারীকে শাস্তি দিয়ে থাকি।
২০. সুরা আল মুমিন-আয়াত-৭২- তাদের বলা হবে জাহান্নামের দরজাগুলোতে প্রবেশ করো, তাতে স্থায়ীভাবে থাকো সুতরাং কতইনা নিকৃষ্ট অহংকারকারীদের বাসস্থান।
২১. সুরা হামীম সাজদা-আয়াত-২৪- এখন ধৈর্য ধারণ করলেও জাহান্নামই হবে তাদের আবাস; আর তারা অনুগ্রহ চাইলেও তারা অনুগ্রহ প্রাপ্তদের অর্ন্তভূক্ত হবে না।
২২. সুরা যুখরুফ- আয়াত-৭৪-৭৫- নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তারা এতে হতাশ হয়ে পড়বে।
২৩. সুরা বাইয়্যিনাহ-আয়াত- ০৬- নিশ্চয়ই আহলি কিতাবের মধ্যে যারা অবিশ্বাস করেছিল এবং মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে চিরকাল অবস্থান করবে, তারাই নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।
(ভাই মুহসীন ভূঁইয়া থেকে সংগৃহীত.)
###################$#$$###

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here