একটি মাত্র মহান্ আল্লাহর আদেশ অমান্যকরায় কি বললেন বাদশা তালুতকে হযরত শামুয়েল (আঃ) সময় থাকলে পড়ে দেখুন জীবনের কাজে লাগবে।
বাদশা তালুতকে হযরত শামুয়েল (আঃ) বললেন,তোমার সম্পর্কে মাবুদ গতরাতে আমাকে যা বলেছেন, তাহলো তুমি কি একটা তুচ্ছ সামান্য মানুষ ছিলে না? সেই তুচ্ছ অবস্থায় থেকে মাবুদ তোমাকে বণী ঈসরাইলদের সমস্ত জাতির বাদশা হিসেবে অভিশিক্ত করেছিলেন? আর তিনি কি তোমাকে সম্স্ত অমালকিয়দেতর ধ্বংস করে দিতে বলেন নি? আর মাবুদ কি তোমাকে সেই আদেশ দেননি? তবে তুমি কেন মাবুদের কথার অবাধ্য হলে ? কেন তুমি মাবুদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের ইচ্ছা মত যা খুশি তাই করলে? এখন আমার কথা শোন তালুত, আর যা শুনবে তা তোমার মনে গেথে নেও কারন এখন আমি তোমায় যা বলবো সেটা ২য় বার আর কেউ তোমাকে কোনদিন বলবে না তালুত। মাবুদ কি পুরান ও কুরবানীতে খুশি হন? তিনি তো কুরবানীর চাইতে বাধ্যতাকে বেশি খুশি হন। বিদ্রেহ করা মানে মাবুদকে অস্বীকার করা , এবং তুমি যে সব গোয়ারতুমি করেছে, তা তার সবগুলো মুর্তি পূজার সমতুল্য, তাই তুমি যে সব বিদ্রহ করেছো, গোয়ারতুমি করেছে, আর সেই কারনে মাবুদ তোমাকে ত্যাগ করেছেন।
তাুলুত বললো আমি পাপ করেছি, এখন কি করবো।আমি পাপ করেছি, কারন আমি মাবুদের আদেশ অমান্য করেছি, আমি লোকদের কথা ভয় পেয়ে তাদের কথা শুনেছিলাম। দয়া করুন দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমাকেও নিয়ে চলুন।
জবাবে হযরত শামুয়েল (আঃ) বললেন, আমি তোমার সাথে যাবো না (দোওয়া করতে)। তুমি মাবুদের আদেশ অমান্য করেছো।
আমি দুঃখিত তালুত তোমার কি হয়েছে তা তোমার জানা উচিত তালুত, মাবুদের প্রতি বাধ্য থাকা আমাদের জীবনযাপনের মুল মন্ত্র হওয়া উচিত, এটা শুধু করনীয় বিষয় নয় , এটি কুরবান, মাবুন মানুষের অন্তরের দিকে তাকান এবং তার উদ্দ্যেশেগুলো বিচার করে দেখেন। কুরবানী অনেকেই দেয় কিন্তু তা বাধ্যতা সহকারে দেয় না। তালুত বললো বাধ্যতা জীকনের মুল মন্ত্র।আমাদের মহান মালিক (আল্লাহ) তালুতের পরে সেই রাজ্য হযরত দাউদ (আঃ) কে দান করেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন