এমপি লিটন হত্যা কাদের খানের সহযোগী কসাই সুবল পুলিশ পহাড়ায় হাসপাতালে

এমপি লিটন হত্যা

কাদের খানের সহযোগী কসাই সুবল 

পুলিশ পহাড়ায় হাসপাতালে

হারুন উর রশিদ সোহেল রংপুর প্রতিনিধি..
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় জড়িত জাপার সাবেক এমপি কাদের খানের 'অন্যতম সহযোগী' কসাই সুবল রায় (৫০) রংপুরের সেবা হাসপাতালে ১০ দিন ধরে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে
সুবলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়েছে। তাকে তিনজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। যে কোন সময় তাকে তদন্তের স্বার্থে আটক করা হতে পারে বলেও জানান তারা। রংপুর কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, সুবল রায় কাদের খানের অন্যতম সোর্স চন্দন সরকারের আত্মীয়। পেশায় তিনি মাংস বিক্রেতা (কসাই)। এমপি লিটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মেহেদী হাসানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি সুবল রায় লিটনের গতিবিধি সম্পর্কে তাদের তথ্য প্রদান করতো। পিত্ত থলির পাথর অপারেশনের জন্য গেল ১৪ ফেব্র“য়ারি সুবল চন্দ্র রংপুরের সেবা হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ক্লিনিকে ১৯ ফেব্র“য়ারি থেকে তাকে পাহারা দিচ্ছেন। তিনি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ২০৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। সেখানে পাহারায় রয়েছেন এক এসআইসহ তিন পুলিশ।পুলিশের একটি সূত্র জানান, সুবল রায় কসাই হলেও পেশাদার খুনি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাও রয়েছে। এ কারণে লিটন হত্যাকাণ্ডের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ১৯৮৭ সালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সদস্য হিসেবে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে। এই ডাকাতি মামলায় সে দীর্ঘদিন জেলও খেটেছে।সুবল রায় বলেন, 'হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিন পর পুলিশ আমাকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। কেন আমাকে হ্যান্ডকাপ পড়ানো হয়েছে তা আমি জানি না। তবে বুধবার হ্যান্ডকাপ খুলে দেওয়া হয়েছে।'তিনি আরো বলেন, আমার দূর সম্পর্কের শ্যালক চন্দন সরকার। এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর সাবেক এমপি কাদের খান গ্রেফতার হয়। এর পর থেকে চন্দন পালিয়ে যায়।  সেবা হাসপাতালের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনদিন আগে সুবলকে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বর্তমানে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।