মুম্বইয়ের যৌনপল্লিতে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশিরা-dw
বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুম্বইয়ের যৌনপল্লিতে নারী পাচার বাড়ছে বলে ভারতের
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে৷ তাদের তথ্য অনুয়ায়ী,
নগরীর কামাথিপুরার প্রধান যৌনপল্লিতে বাংলাভাষী যৌনকর্মীর সংখ্যা এখন
রেকর্ড পরিমাণ৷
যৌনকর্মী পাচার নিয়ে কাজ করা মুম্বই ভিত্তিক এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নাম
‘প্রিরানা'৷ সংস্থাটির কো-ফাউন্ডার প্রিতি পাটকার জানান, ‘‘বাংলাদেশ থেকে
নারী পাচার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে যৌনপল্লিতে বাংলাদেশি যৌনকর্মী বেড়ে যাওয়ার
সম্পর্ক আছে৷'' তাই এবার তাদের উদ্ধারে রাজনৈতিক এবং সামাজিক উদ্যোগের কথা
বলা হচ্ছে৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘নারী পাচারকারীরা বেশ বেপরোয়া এবং তারা ভালো চাকরি এবং জীবনের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে নারীদের পাচার করে আনে৷''
জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যৌনকর্মীদের ২১৩ জন সন্তানকে প্রিরানা-র নাইট কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়৷ এর মধ্যে ১২৮ জন বাংলাভাষী মায়ের সন্তান৷ শহরের অন্যান্য এলাকার যৌনপল্লিতেও নাকি ঐ একইরকম চিত্র৷ তবে এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যৌনকর্মী ওআছেন৷
ভারতের সরকারি হিসেবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আছে সেখানে৷
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিদিন শত শত বাংলাদেশি ৪০০০ কিমি. সীমান্ত
দিয়ে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে৷ এরা গরিব এবং এদের
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দালালরা সংগ্রহ করে৷
এশিয়ার ভেতরে অবৈধ অভিবাসন বেড়েই চলেছে৷ এর পেছনে আছে মানব পাচারকারী এবং মাদক পাচারকারীরা৷ জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিসি)-এর তথ্য মতে, বছরে এই অবৈধ ব্যবসার আয় অন্ততপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলার৷
তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় মানবপাচার বিশ্বের মধ্যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে৷ আর বিশ্বে এই মানবপাচারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরই দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান৷
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ১,৫০,০০ মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছে৷ তবে প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়েও বেশি হতে পারে৷ তাছাড়া এশিয়ায় মানবপাচার বেড়ে যাওয়া তার প্রভাবও পড়ছে এই এলাকায়৷
প্রিতি পাটকার জানান, ‘‘বাংলাদেশ থেকে মুম্বইয়ে পাচার হয়ে আসা নারীরা তাদের অধিকারের জন্য সহায়তার বিষয়টি জানেন না এবং সহায়তা নিতে ভয় পান৷ তাই যৌনপল্লি থেকে উদ্ধারের পর তারা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে চান না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘নারী পাচারকারীরা বেশ বেপরোয়া এবং তারা ভালো চাকরি এবং জীবনের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে নারীদের পাচার করে আনে৷''
জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যৌনকর্মীদের ২১৩ জন সন্তানকে প্রিরানা-র নাইট কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়৷ এর মধ্যে ১২৮ জন বাংলাভাষী মায়ের সন্তান৷ শহরের অন্যান্য এলাকার যৌনপল্লিতেও নাকি ঐ একইরকম চিত্র৷ তবে এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যৌনকর্মী ওআছেন৷
এশিয়ার ভেতরে অবৈধ অভিবাসন বেড়েই চলেছে৷ এর পেছনে আছে মানব পাচারকারী এবং মাদক পাচারকারীরা৷ জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিসি)-এর তথ্য মতে, বছরে এই অবৈধ ব্যবসার আয় অন্ততপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলার৷
তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় মানবপাচার বিশ্বের মধ্যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে৷ আর বিশ্বে এই মানবপাচারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরই দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান৷
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ১,৫০,০০ মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছে৷ তবে প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়েও বেশি হতে পারে৷ তাছাড়া এশিয়ায় মানবপাচার বেড়ে যাওয়া তার প্রভাবও পড়ছে এই এলাকায়৷
প্রিতি পাটকার জানান, ‘‘বাংলাদেশ থেকে মুম্বইয়ে পাচার হয়ে আসা নারীরা তাদের অধিকারের জন্য সহায়তার বিষয়টি জানেন না এবং সহায়তা নিতে ভয় পান৷ তাই যৌনপল্লি থেকে উদ্ধারের পর তারা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে চান না৷''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন