হুদায়বয়িার সন্ধ:ি ইসলামরে মহাবজিয় ও শান্তকিামীতার সাক্ষ্য - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

হুদায়বয়িার সন্ধ:ি ইসলামরে মহাবজিয় ও শান্তকিামীতার সাক্ষ্য


হুদায়বয়িার সন্ধ:ি ইসলামরে মহাবজিয় ও শান্তকিামীতার সাক্ষ্য

http://parstoday.com/bn/radio/uncategorised-i18880

ষ্ঠ হজিরী সাল তক্তি-মষ্টি নানা ঘটনার মধ্য দয়িে শষে হয়ে আসছলি। হঠাৎ এক রাতে মহানবী (সা.) একটি সুন্দর স্বপ্নে দখেলনে, মুসলমানরা মসজদিুল হারামে (পবত্রি কাবাঘররে চারদকি)ে হজ্বরে আনুষ্ঠানকিতাগুলো পালন করছ।ে

তনিি এ স্বপ্নরে কথা তাঁর সাথীদরে বললনে এবং একে একটি শুভ আলামত মনে করে বললনে, খুব শগিগরিই মুসলমানরা তাদরে মনরে আশা পূরণে সক্ষম হব।ে

কয়কে দনিরে মধ্যইে তনিি মুসলমানদরে উমরার জন্য প্রস্তুতি নয়োর নর্দিশে দলিনে এবং মদীনার আশ-েপাশরে যসেব গোত্র তখনও র্মূতপিূজক ছলি, তাদরেও আহ্বান জানালনে মুসলমানদরে সফরসঙ্গী হত।ে এ খবর হজিাযরে র্সবত্র ছড়য়িে পড়ল য,ে মুসলমানরা যলিকদ মাসে উমরার উদ্দশ্যেে মক্কায় যাচ্ছ।ে

এই আধ্যাত্মকি ও র্ধমীয় সফররে আত্মকি ও নতৈকি কল্যাণরে দকি ছাড়াও সামাজকি ও রাজনতৈকি কল্যাণরে দকিও ছলি এবং তা সমগ্র আরবোপদ্বীপে মুসলমানদরে অবস্থানকে সুদৃঢ়করণ ও হজিাযরে বভিন্নি গোত্ররে মধ্যে একত্ববাদী র্ধম ইসলাম প্রচাররে জন্য সহায়ক ছলি। কারণ :

প্রথমত আরবরে র্মূতপিূজক নানা গোত্র ভাবত, মহানবী (সা.) তাদরে সকল র্ধমীয় বশ্বিাস ও আচার-অনুষ্ঠানরে বরিোধী, এমনকি তাদরে অন্যতম প্রাচীন আচার হজ্ব ও উমরারও তনিি বরিোধী। এ কারণে তারা রাসূল (সা.) ও তাঁর প্রচারতি র্ধমরে প্রতি ভীত ছলি। তাই এমন মুর্হূতে রাসূল (সা.) ও তাঁর সঙ্গীদরে উমরা পালনে যাত্রার ঘোষণায় তাদরে ঐ ভয় খানকিটা দূর হলো। মুহাম্মদ (সা.) র্কমক্ষত্রেে ব্যবহারকিভাবে দখেয়িে দতিে চাইলনে তনিি আল্লাহর ঘররে যয়িারতরে উদ্দশ্যেে যাত্রা ও একে কন্দ্রে করে আর্বততি র্ধমীয় আচার ও অন্যান্য স্মৃতচি‎ি‎হ্নগুলোর প্রতি সম্মান প্রর্দশনরে বরিোধী তো ননই; বরং এরূপ কাজকে ফরয মনে করনে এবং আরবদরে আদি পতিা হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর ন্যায় এর সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবনে সচষ্টে। যারা ইসলামকে তাদরে সব র্ধমীয় ও জাতীয় আচার-অনুষ্ঠানরে একশ’ ভাগ বরিোধী মনে করত, মুহাম্মদ (সা.) চয়েছেলিনে ঐ সব দল ও গোষ্ঠীকে এভাবে আর্কষণ করতে ও তাদরে মন থকেে ভয় দূর করত।ে

দ্বতিীয়ত এভাবে যদি মুসলমানরা শত-সহস্র আরব মুশরকিরে সামনে সফলতার সাথে ও স্বাধীনভাবে মসজদিুল হারামে উমরা পালনে সক্ষম হন, তা হলে তা ইসলামরে পক্ষে প্রচাররে এক বরিাট সুযোগ এনে দবে।ে কারণ এ সময়ে আরবরে বভিন্নি প্রান্ত থকেে মুশরকিরা মুসলমানদরে খবর তাদরে নজি নজি অঞ্চলে নয়িে যাব।ে ফলে যসেব স্থানে ইসলামরে আহ্বান পৗেঁছানো মহানবী (সা.)-এর পক্ষে সম্ভব ছলি না বা তাঁর পক্ষে কাউকে প্রচারক হসিবেে পাঠানো সম্ভব হয়ে ওঠে ন,ি সখোনওে তাঁর বাণী পৗেঁছে যাব।ে অন্ততপক্ষে এর প্রভাব র্কাযকর হব।ে

তৃতীয়ত মুহাম্মদ (সা.) যাত্রার র্পূবে মদীনায় অবস্থানকালইে হারাম মাসগুলোর  কথা স্মরণ করে বলনে : “আমরা শুধুই আল্লাহর ঘর যয়িারতে যাব।” তাই সফররে সময় বহনরে জন্য  আরবদরে মধ্যে প্রচলতি একটি তরবারি ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র সঙ্গে না নয়োর জন্য মুসলমানদরে নর্দিশে দলিনে। এ নর্দিশেরে ফলে অনকেইে ইসলামরে প্রতি আকৃষ্ট হলো। কারণ, আরবরে মুশরকিরা মুসলমানদরে বরিুদ্ধে যে অপপ্রচার চালাতো য,ে তনিি কোন আরব রীতি মাননে না, তারা দখেল, রাসূলও অন্যদরে মতো এ মাসগুলোতে যুদ্ধকে হারাম মনে করনে ও এই প্রাচীন রীতকিে সর্মথন করনে।

ইসলামরে মহান কাণ্ডারী জানতনে, এ পদ্ধততিে মুসলমানরা সফলতা লাভ করলে তাদরে বহু প্রতীক্ষতি একটি লক্ষ্যে পৗেঁছতে সক্ষম হব।ে তা ছাড়া জন্মভূমি থকেে বতিাড়তি এ দল নজি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও সুহৃদদরে সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভরে সুযোগ পাব।ে আর কুরাইশরা মক্কায় প্রবশেে মুসলমানদরে বাধা দলিে সমগ্র আরবোপদ্বীপরে গোত্রগুলোর কাছে অসম্মানতি হব।ে কারণ আরবরে সাধারণ নরিপক্ষে গোত্রগুলোর আগত প্রতনিধিরিা দখেবে আল্লাহর ঘররে উদ্দশেে ফরয হজ্ব করতে আসা একদল নরিস্ত্র হাজীর সঙ্গে কুরাইশরা করিূপ আচরণ করছে;ে অথচ মসজদিুল হারামরে ওপর সব আরবরে অধকিার রয়ছেে এবং কুরাইশরা কবেল তার তত্ত্বাবধায়করে দায়ত্বিে রয়ছে।ে

এর ফলে মুসলমানদরে সত্যতার সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটবে এবং কুরাইশদরে অবধৈ শক্তি প্রয়োগরে বষিয়টি তারা বুঝতে পারব।ে ফলে কুরাইশরা ইসলামরে বরিুদ্ধে পদক্ষপে নতিে তাদরেকে সঙ্গী ও চুক্তবিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ তারা হাজার হাজার লোকরে সামনইে মুসলমানদরে বধৈ অধকিার থকেে বঞ্চতি করছে।ে

মহানবী (সা.) বষিয়টরি নানা দকি চন্তিা করে উমরার জন্য যাত্রার নর্দিশে দলিনে। চৌদ্দ হাজার , ষোল  হাজার অথবা আঠারো হাজার , হজ্বযাত্রী ‘যুল হুলাইফা’ নামক স্থানে ইহরাম বাঁধলনে। তাঁরা কুরবানীর জন্য সত্তরটি উট সঙ্গে নলিনে এবং উটগুলোকে কোরবানীর জন্য চহ্নিতি করে সবার কাছে নজিদেরে সফররে উদ্দশ্যে র্বণনা করলনে।

রাসূল (সা.) কয়কেজন সংবাদবাহককে আগইে সংবাদ সংগ্রহরে জন্য পাঠালনে যাতে কোনো শত্রু দখেলে তারা তাঁর কাছে দ্রুত সংবাদ পৗেঁছান।

‘আসফান’ থকেে রাসূলরে পাঠানো সংবাদবাহক সংবাদ নয়িে এলনে :

“কুরাইশরা আপনাদরে আগমন সর্ম্পকে জানতে পরেছেে এবং তাদরে সন্যৈদরে প্রস্তুত করে লাত ও ওজ্জার (দবেতার র্মূত)ি শপথ করে প্রতজ্ঞিাবদ্ধ হয়ছেে য,ে আপনাকে কোনক্রমইে মক্কায় প্রবশে করতে দবেে না। কুরাইশরে র্শীষস্থানীয় নতো ও ব্যক্তরিা মক্কার নকিটর্বতী ‘যতিুয়া’য় সমবতে হয়ছেে এবং মুসলমানদরে অগ্রযাত্রা রোধ করতে তাদরে সাহসী যোদ্ধা খালদি ইবনে ওয়ালীদকে দু’ শ’ সন্যৈসহ আসফানরে আট মাইল দূররে ‘কারাউল গামীম’-এ নয়িোজতি করছে।ে  তাদরে উদ্দশ্যে মুসলমানদরে গতরিোধ করা, এমনকি যদি এতে তাদরে নহিতও হতে হয়।”

মহানবী (সা.) এ সংবাদ শুনে বললনে : “কুরাইশদরে জন্য আফসোস! যুদ্ধ তাদরে শষে করে দয়িছে।ে হায়! যদি কুরাইশরা আরবরে র্মূতপিূজক গোত্রগুলোর সঙ্গে আমাকে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দতি! সক্ষেত্রেে ঐ গোত্রগুলো আমার ওপর বজিয়ী হলে তাদরে লক্ষ্যে পৗেঁছতো, আর আমি তাদরে ওপর বজিয়ী হলে হয় তারা ইসলামরে ছায়ায় আশ্রয় নতি, নতুবা তারা তাদরে বদ্যিমান শক্তি নয়িে আমার সাথে যুদ্ধ করত। আল্লাহর শপথ! একত্ববাদী এ র্ধমরে প্রচাররে র্সবাত্মক প্রচষ্টো চালাব। হয় এতে আল্লাহ্ আমাদরে বজিয়ী করবনে, নতুবা তাঁর পথে প্রাণ বর্সিজন দবে।” এরপর একজন অভজ্ঞি পথপ্রর্দশককে ডকেে এমনভাবে কাফলোকে নয়িে যতেে বললনে যাতে খালদিরে সনোদলরে মুখোমুখি না হতে হয়। আসলাম গোত্ররে একজন দশিারী কাফলো পরচিালনার দায়ত্বি লাভ করছেলিনে। তনিি এক র্দুগম উপত্যকা দয়িে কাফলোকে অতক্রিম করয়িে ‘হুদায়বয়িা’য় পৗেঁছলে মহানবী (সা.)-এর উট মাটতিে বসে পড়ল। মহানবী (সা.) বললনে : “এ উট আল্লাহর নর্দিশেে এখানে বসে পড়ছে।ে এখানইে আমাদরে করণীয় সদ্ধিান্ত নতিে হব।ে” এরপর সবাইকে বাহন হতে নমেে তাঁবু স্থাপনরে নর্দিশে দলিনে।

সময় না গড়াতইে কুরাইশ অশ্বারোহী সনোরা রাসূল (সা.)-এর নতুন পথ সর্ম্পকে জানতে পরেে তাঁর অবস্থান গ্রহণরে স্থানরে কাছে চলে আস।ে মহানবী (সা.) যাত্রা স্থগতি না করে অগ্রযাত্রার সদ্ধিান্ত নলিে অবশ্যই কুরাইশ সন্যৈদরে রক্ষণব্যূহ ভদে করে যতেে হতো। সক্ষেত্রেে তাদরে হত্যা করে রক্তরে ওপর দয়িে পথ অতক্রিম করতে হতো। অথচ সবাই জানত রাসূল (সা.) উমরা ও কাবা ঘর যয়িারত ছাড়া অন্য কোন উদ্দশ্যেে আসনে ন।ি তাই এ রকম কছিু ঘটলে মহানবীর ব্যক্তত্বি ও শান্তকিামী চরত্রিরে ভাবর্মযাদার ওপর আঘাত আসত। উপরন্তু আগত ঐ সন্যৈদরে হত্যার মাধ্যমইে ঘটনার যবনকিাপাত ঘটতো না। কারণ সাথে সাথইে একরে পর এক নতুন সনোবাহনিী তাঁদরে প্রতরিোধরে জন্য আসত এবং তা অব্যাহত থাকত। অন্যদকিে মুসলমানরা তরবারি ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র সঙ্গে ননে ন।ি এ অবস্থায় যুদ্ধ করা কখনোই কল্যাণকর হতো না। তাই আলোচনা ও সংলাপরে মাধ্যমইে সমস্যার সমাধান বাঞ্ছনীয় ছলি।

এ কারণইে বাহন হতে নামার পর মহানবী (সা.) তাঁর সঙ্গীদরে উদ্দশেে বলনে : “যদি আজ কুরাইশরা আমার কাছে এমন কছিু চায় যা তাদরে সাথে আমাদরে সর্ম্পক দৃঢ় কর,ে তবে আমি অবশ্যই তা দবে এবং সমঝোতার পথকইে বছেে নবে।”

সবাই রাসূল (সা.)-এর কথা শুনলনে এবং শত্রুদরে কানওে তা পৗেঁছল। তারা রাসূলরে চূড়ান্ত লক্ষ্য সর্ম্পকে জানার সদ্ধিান্ত নলি। তাই কয়কেজনকে তাঁর কাছে পাঠাল তাঁর উদ্দশ্যে সর্ম্পকে জানার জন্য।

রাসূল (সা.) সকাশে কুরাইশ প্রতনিধিদিল

কুরাইশরা কয়কে দফায় রাসূলরে কাছে বভিন্নি ব্যক্তকিে পাঠয়িে তাঁর সফররে উদ্দশ্যে সর্ম্পকে জানতে চাইল।

র্সবপ্রথম বুদাইল খাযায়ী তার গোত্ররে কয়কেজনকে নয়িে রাসূলরে কাছে এল। মহানবী (সা.) তাদরে বললনে : “আমি যুদ্ধরে জন্য আসি ন;ি বরং আল্লাহর ঘর যয়িারতে এসছে।ি” প্রতনিধিদিল কুরাইশ নতোদরে কাছে ফরিে গয়িে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলল। কন্তিু কুরাইশরা তাদরে কথা সহজে বশ্বিাস করতে পারল না। তাই তারা বলল : “আল্লাহর শপথ! আমরা তাকে কোন অবস্থায়ই মক্কায় প্রবশে করতে দবে না, এমনকি যদি সে উমরাও করতে আস।ে”

দ্বতিীয় বার কুরাইশদরে পক্ষ থকেে ‘মুকরজি’ নামরে এক ব্যক্তি রাসূলরে সাথে সাক্ষাৎ করল। সওে কুরাইশদরে কাছে ফরিে গয়িে বুদাইলরে অনুরূপ প্রতবিদেন দলি। কন্তিু কুরাইশরা তাদরে দু’জনরে কথাই বশ্বিাস করল না। তৃতীয়বার আরবরে তীরন্দাজ বাহনিীর নতো হুলাইস ইবনে আলকামাকে দ্বন্দ্ব-সংশয় অবসানরে লক্ষ্যে রাসূলরে কাছে পাঠালো।  তাকে দূর থকেে দখেইে রাসূল (সা.) মন্তব্য করলনে :

“এই ব্যক্তি আল্লাহর পরচিয় লাভকারী পবত্রি এক গোত্ররে মানুষ। তার সামনে কুরবানীর জন্য আনা উটগুলো ছড়েে দাও যাতে সে বুঝতে পারে আমরা যুদ্ধ করতে আসি ন।ি উমরা করা ছাড়া আমাদরে আর কোন উদ্দশ্যে নইে।” এই র্শীণ সত্তরটি উটরে উপর হুলাইসরে দৃষ্টি পড়লে সে দখেল সগেুলো খাদ্যাভাবে শুকয়িে গছেে এবং একে অপররে লোম ছঁিড়ে খাচ্ছ।ে সে মহানবীর সঙ্গে দখো না করইে যত দ্রুত সম্ভব কুরাইশদরে কাছে ফরিে গয়িে বলল : “আমরা তোমাদরে সাথে এ র্শতে কখনোই চুক্তবিদ্ধ হই নি য,ে আল্লাহর ঘররে যয়িারতকারীদরে বাধা দবে।ে মুহাম্মদ যয়িারত ছাড়া অন্য কোন উদ্দশ্যে নয়িে আসনে ন।ি যে খোদার হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ! যদি মুহাম্মদকে প্রবশেে বাধা দাও, তা হলে আমি আমার গোত্ররে সব লোক (যাদরে অধকিাংশই তীরন্দাজ) নয়িে তোমাদরে সাথে যুদ্ধ করব।”

হুলাইসরে কথায় কুরাইশরা ভীত হলো এবং চন্তিা করে তাকে বলল :“শান্ত হও। আমরা এমন পথ অবলম্বন করব, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও।”

অবশষেে তারা বুদ্ধমিান, সমঝদার ও তাদরে কল্যাণকামী উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফীকে মহানবী (সা.)-এর কাছে পাঠাল। সে প্রথমে কুরাইশদরে প্রতনিধিি হসিবেে যতেে রাজী হয় ন।ি কারণ সে লক্ষ্য করছে,ে র্পূবর্বতী প্রতনিধিদিরে তারা মথ্যিা প্রতপিন্ন করছেে ও তাদরে বশ্বিাস না করে মানহানি ঘটয়িছে।ে কন্তিু কুরাইশরা তাকে আশ্বস্ত করল এই বলে য,ে তাদরে কাছে তার বশিষে সম্মান রয়ছেে এবং তাকে তারা বশ্বিাসঘাতকতার অপবাদ দবেে না।

উরওয়া ইবনে মাসউদ রাসূল (সা.)-এর কাছে উপস্থতি হয়ে বলল : “বভিন্নি দলকে নজিরে চারদকিে সমবতে করছে এ উদ্দশ্যেে য,ে নজি জন্মভূমি (মক্কা) আক্রমণ করব?ে কন্তিু জনেে রাখ, কুরাইশরা তাদরে সমগ্র শক্তি নয়িে তোমার মোকাবলো করবে এবং কোন অবস্থায়ই তোমাকে মক্কায় প্রবশে করতে দবেে না। কন্তিু আমি ভয় পাচ্ছ,ি তোমার চারপাশে সমবতে এরা তোমাকে একা ফলেে পালয়িে না যায়!”

তার এ কথা বলার সময় মহানবীর পছেনে দাঁড়য়িে প্রথম খলফিা আবূ বকর বললনে : “তুমি ভুল করছ। মহানবী (সা.)-এর সঙ্গীরা কখনোই তাঁকে ছড়েে যাবে না।” উরওয়া মুসলমানদরে মানসকি শক্তি র্দুবল করার জন্য কূটনতৈকি চাল চালছলি। সে কথা বলার সময় মহানবীকে (স) অসম্মান করার লক্ষ্যে বারবার তাঁর পবত্রি দাড়ি মুবারকে হাত দচ্ছিলি। অন্যদকিে মুগীরা ইবনে শু’বা প্রতবিারই তার হাতে আঘাত করে সরয়িে দচ্ছিলিনে ও বলছলিনে : “সম্মান ও আদব রক্ষা করে আচরণ কর। মহানবীর সাথে বয়োদবী করো না।” উরওয়া ইবনে মাসউদ রাসূলকে প্রশ্ন করল : “এই ব্যক্তটিি ক?ে” (সম্ভবত রাসূলরে চারদকিে যাঁরা দাঁড়য়িছেলিনে, তাঁরা মুখ ঢকেে রখেছেলিনে)। মহানবী (সা.) বললনে : “সে তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র শুবা’র পুত্র মুগীরা।” উরওয়া রাগান্বতি হয়ে মুগীরাকে বলল : “হে চালবাজ প্রতারক! আমি গতকাল তোর সম্মান কনিছেি (রক্ষা করছে)ি। তুই ইসলাম গ্রহণরে পর সাকীফ গোত্ররে তরে জনকে হত্যা করছেসি। আমি সাকীফ গোত্ররে সঙ্গে যুদ্ধ করা থকেে রক্ষা পতেে সবার রক্তপণ শোধ করছে।ি” মহানবী তার কথায় ছদে টনেে তাঁর আগমনরে উদ্দশ্যে সর্ম্পকে র্বণনা দলিনে যমেনটি র্পূবর্বতী প্রতনিধিদিরে কাছে দয়িছেলিনে। এরপর উরওয়ার এতক্ষণরে কথার দাঁতভাঙা জবাব দতিে উঠে ওযূ করতে গলেনে। উরওয়া লক্ষ্য করল মহানবীর ওযূর পানি মাটতিে পড়ার আগইে কাড়াকাড়ি করে মুসলমানরা তা নয়িে নচ্ছিনে। উরওয়া সখোন থকেে উঠে কুরাইশদরে সমাবশেস্থল ‘যি তুয়া’র দকিে যাত্রা করল। কুরাইশদরে বঠৈকে প্রবশে করে রাসূলরে আসার উদ্দশ্যে ও সাক্ষাতরে ববিরণ পশে করল। এরপর বলল : “আমি বড় বড় রাজা-বাদশা দখেছে।ি ক্ষমতাবান সম্রাট, যমেন পারস্য ও রোম সম্রাট, আবসিনিয়িার বাদশাহ, সবাইকে দখেছে।ি কন্তিু নজি অনুসারী ও ভক্তদরে মাঝে মুহাম্মদরে মতো সম্মানরে অধকিারী কাউকে দখেি ন।ি আমি দখেছেি তাঁর অনুসারীরা তাঁর ওযূর পানি মাটতিে পড়ার আগইে বরকত লাভরে উদ্দশ্যেে তা ছােঁ মরেে নয়িে যাচ্ছ।ে যদি তাঁর কোন চুল বা লোমও মাটতিে পড়,ে তারা তা ত্বরৎিগততিে তুলে নচ্ছি।ে তাই তাঁর বপিজ্জনক র্মযাদাকর অবস্থান সর্ম্পকে কুরাইশদরে চন্তিা করা উচতি।”

মহানবী (সা.)-এর প্রতনিধিি প্ররেণ

বশ্বি মুসলমিরে নতো মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে কুরাইশ প্রতনিধিি দলগুলোর বঠৈক সফলতা লাভ করে ন।ি তাই স্বাভাবকিভাবে মহানবীর ভাববার সম্ভাবনা ছলি, কুরাইশদরে প্ররেতি প্রতনিধিি সঠকিভাবে তথ্য পৗেঁছাতে সক্ষম হয় নি বা কউে কউে সঠকি তথ্য সখোনে পৗেঁছাক, তা চায় নি কংিবা মথ্যিুক বলে অভযিুক্ত হওয়ার ভয়ে স্পষ্টভাবে বক্তব্য উপস্থাপন থকেে বরিত থকেছে।ে এদকি চন্তিা করে মহানবী সদ্ধিান্ত নলিনে নজিরে পক্ষ থকেে একজন প্রতনিধিি পৌত্তলকি দলরে নতোদরে কাছে পাঠয়িে তাঁর উদ্দশ্যে যে উমরা করা ছাড়া অন্য কছিু নয়, তা জানয়িে দবেনে।

তনিি খাযায়া গোত্ররে একজন অভজ্ঞি ব্যক্তকিে এ কাজরে জন্য মনোনীত করলনে। তাঁর নাম খরিাশ ইবনে উমাইয়্যা। মহানবী (সা.) তাঁকে একটি উট দয়িে কুরাইশদরে কাছে যতেে বললনে। তনিি কুরাইশদরে কাছে গয়িে তাঁর ওপর র্অপতি দায়ত্বি যথাযথভাবে পালন করলনে। কন্তিু কুরাইশরা কোন দূতরে প্রতি সম্মানজনক আচরণরে বশ্বিজনীন নীতি অনুসরণরে বপিরীতে তাঁর উটটকিে হত্যা করল ও তাঁকওে হত্যা করতে উদ্যত হলো। কন্তিু তীরন্দাজ আরবরা কুরাইশদরে এ কাজ থকেে নবিৃত্ত করল। এ কাজরে মাধ্যমে কুরাইশরা প্রমাণ করল, তারা শান্ত,ি সন্ধি ও সমঝোতার পথ অবলম্বন করতে রাজী নয়; বরং যুদ্ধ বাঁধানোর চন্তিায় রয়ছে।ে

এ ঘটনার পরপরই কুরাইশদরে প্রশক্ষিতি ৫০ যুবক মুসলমানদরে অবস্থানরে কাছে মহড়া দয়োর দায়ত্বি পলে। সে সাথে সুযোগ পলেে মুসলমানদরে সম্পদ লুট করে তাঁদরে কয়কেজনকে বন্দী করে কুরাইশদরে কাছে নয়িে যতেওে তাদরেকে বলা হয়ছেলি। কন্তিু তাদরে এ পরকিল্পনা র্ব্যথ তো হলোই; বরং তারা সবাই মুসলমানদরে হাতে বন্দী হয়ে রাসূলরে সামনে আনীত হলো। বন্দী হওয়ার আগে তারা মুসলমানদরে উদ্দশেে তীর ও পাথর ছোঁড়া সত্বওে মহানবী (সা.) তাঁর শান্তকিামী মনোভাব প্রমাণ করতে তাদরে সবাইকে মুক্তি দয়োর নর্দিশে দলিনে এবং বুঝয়িে দলিনে, তনিি যুদ্ধ করতে আসনেন।ি

মহানবী (সা.) দ্বতিীয় বাররে মতো প্রতনিধিি পাঠালনে। এতকছিু সত্বওে তনিি সন্ধি ও সমঝোতার বষিয়ে নরিাশ হলনে না এবং সংলাপরে মাধ্যমইে সমস্যার সমাধান করতে এবং কুরাইশ নতোদরে মতরে পরর্বিতন ঘটাতে চাইলনে। তনিি এমন এক ব্যক্তকিে মনোনীত করলনে কুরাইশদরে রক্তে যার হাত রঞ্জতি হয়ন।ি তাই হযরত আলী, যুবাইরসহ ইসলামরে যে সব মহাসনৈকি আরব ও কুরাইশদরে মহাবীরদরে মুখোমুখি হয়ে তাদরে অনকেকে হত্যা করছেনে, তাঁদরেকে মনোনীত করা সমীচীন মনে করলনে না। এজন্য তনিি র্সবপ্রথম দ্বতিীয় খলফিা উমর ইবনে খাত্তাবরে কথা চন্তিা করলনে। কারণ তনিি সদেনি র্পযন্ত কোন কুরাইশরে এক ফােঁটা রক্তও ঝরান ন।ি কন্তিু উমর এ দায়ত্বি পালনরে ব্যাপারে অজুহাত দখেয়িে বললনে : “আমি আমার জীবনরে বষিয়ে কুরাইশদরে হতে শঙ্কতি এবং মক্কায় আমার কোন নকিটাত্মীয়ও নইে যে আমার পক্ষাবলম্বন করে আমাকে তাদরে হাত থকেে বাঁচাব।ে তাই আমি এমন এক ব্যক্তরি নাম প্রস্তাব করছ,ি যনিি এই দায়ত্বি পালনে সক্ষম। তনিি হলনে উসমান ইবনে আফ্ফান। যহেতেু তনিি উমাইয়্যা বংশরে লোক এবং আবূ সুফয়িানরে নকিটাত্মীয়, সহেতেু তনিি আপনার বাণী কুরাইশদরে কাছে পৗেঁছানোর জন্য বশেি উপযুক্ত।” ফলে ভবষ্যিৎ তৃতীয় খলফিা উসমান ইবনে আফ্ফান এ কাজরে দায়ত্বি পলেনে এবং মক্কার দকিে রওয়ানা হলনে। তনিি পথমিধ্যে আবান ইবনে সাঈদ ইবনে আসরে সাক্ষাৎ পলেনে এবং তার আশ্রয়ে মক্কায় প্রবশে করলনে। আবান প্রতশ্রিুতি দলি, কউে  তাঁর ক্ষতি করবে না এবং সে তাঁকে নরিাপদে কুরাইশদরে কাছে নয়িে যাবে যাতে তনিি রাসূলরে বাণী পৗেঁছাতে পারনে। কন্তিু কুরাইশরা রাসূলরে বাণী শুনে বলল : “আমরা শপথ করছেি মুহাম্মদকে জোরর্পূবক মক্কায় প্রবশে করতে দবে না। এ শপথরে ফলে সংলাপরে মাধ্যমে তাকে মক্কায় প্রবশে করতে দয়োর পথ রুদ্ধ হয়ছে।ে” এরপর তারা  উসমানকে কাবা ঘর তাওয়াফরে অনুমতি দলি। কন্তিু তনিি রাসূলরে সম্মানে তা থকেে বরিত থাকলনে। কুরাইশরা আরো যা করল, তা হলো তৃতীয় খলফিা উসমানকে ফরিে যতেে দলি না। সম্ভবত তারা চাইল তাঁর যাত্রা বলিম্বতি করে কোন উপায় বরে করত।ে

বাইয়াতে রদিওয়ান

মহানবী (সা.)-এর প্ররেতি প্রতনিধিরি ফরিতে বলিম্ব হওয়ায় মুসলমানদরে মধ্যে চরম উত্তজেনা সৃষ্টি হলো এবং তাঁরা উদ্বগ্নি হয়ে পড়লনে। হঠাৎ উসমানরে নহিত হওয়ার সংবাদ মুসলমানদরে মধ্যে ছড়য়িে পড়ল এবং তাঁরা প্রতশিোধরে জন্য র্গজে উঠলনে। মহানবী (সা.) তাদরে এই পবত্রি ও উজ্জীবতি চতেনাকে ধারণ ও দৃঢ় করার জন্য তাঁদরে উদ্দশেে বললনে: “চূড়ান্ত কছিু না করা র্পযন্ত আমি এখান থকেে যাব না।” যহেতেু সে মুর্হূতে মুসলমানরা সমূহ বপিদরে আশংকা করছলিনে এবং এজন্য তাঁরা যুদ্ধরে মনোভাব নয়িে সমবতে হয়ছেলিনে, সহেতেু মহানবী (সা.) সদ্ধিান্ত নলিনে মুসলমানদরে সাথে তাঁর প্রতশ্রিুত শপথ নবায়ন করবনে। তাই নতুনভাবে তাঁদরেকে তাঁর সাথে প্রতশ্রিুতবিদ্ধ করার লক্ষ্যে একটি গাছরে নচিে বসলনে এবং সকল সঙ্গীকে বাইয়াত (প্রতশ্রিুতবিদ্ধ হওয়ার জন্য শপথ) নয়োর জন্য তাঁর হাতে হাত রাখতে আহ্বান জানালনে। তাঁরা রাসূলরে হাতে হাত রখেে শপথ করলনে শষে নঃিশ্বাস ত্যাগ করা র্পযন্ত ইসলামরে প্রতরিক্ষায় নবিদেতি থাকবনে। এটইি সইে ঐতহিাসকি ‘বাইয়াতে রদিওয়ান’, যা সর্ম্পকে পবত্রি কুরআনে এরশাদ হয়ছেে :

لقد رضى الله عن المؤمنین إذ یُبایعونک تحت الشّجرة فعلم ما فِى قلوبِهم فأنزل السّکینة علیهم و أثابَهم فتحا قریبا

“আল্লাহ মুমনিদরে প্রতি সন্তুষ্ট হলনে, যখন তারা গাছরে নচিে আপনার কাছে শপথ করল। আল্লাহ্ অবগত ছলিনে, যা তাদরে অন্তরে ছলি। অতঃপর তনিি তাদরে ওপর প্রশান্তি নাযলি করলনে এবং তাদরেকে পুরস্কার দলিনে আসন্ন বজিয়।” (সূরা ফাত্হ : ১৮)

বাইয়াত সম্পন্ন হওয়ার পর মুসলমানরা তাঁদরে করণীয় সর্ম্পকে নশ্চিতি হলনে। হয় কুরাইশরা তাঁদরে আল্লাহর ঘরে যাওয়ার পথ খুলে দবে,ে নতুবা তাঁরা মুশরকিদরে সাথে যুদ্ধ করবনে। মহানবী (সা.) উসমানরে আগমনরে প্রতীক্ষায় ছলিনে। হঠাৎ তনিি ফরিে এলনে। এটি সন্ধরি সবুজ সংকতে দলি। তনিি কুরাইশদরে অবস্থান সর্ম্পকে রাসূল (সা.)-কে বললনে : “কুরাইশদরে সমস্যা হলো তারা আল্লাহর নামে শপথ করছে।ে তাই এ সমস্যার সমাধানরে জন্য তাদরে প্রতনিধিি আপনার নকিট আসব।ে”

রাসূল (সা.)-এর সাথে কুরাইশ প্রতনিধিি সুহাইল ইবনে আমর-এর সাক্ষাৎ

কুরাইশদরে পঞ্চম প্রতনিধিি হসিবেে বশিষে দায়ত্বি নয়িে সুহাইল ইবনে আমর রাসূলরে কাছে এল যাতে বশিষে এক চুক্তরি মাধ্যমে এ অচলাবস্থার অবসান হয়। সুহাইলকে দখোমাত্রই রাসূল (সা.) বললনে : “সুহাইল কুরাইশদরে পক্ষ থকেে আমাদরে সাথে সন্ধচিুক্তি করতে এসছে।ে” সুহাইল এসে মহানবীর সামনে বসল। সে যে বষিয়ইে কথা বলছলি, তার মাধ্যমে একজন ঝানু কূটনীতকিরে মতই সে মহানবীর ভাবাবগেকে উদ্বলেতি করার চষ্টো করছলি। সে বলল : “হে আবুল কাসমে! মক্কা আমাদরে পবত্রি স্থান এবং আমাদরে জন্য সম্মানরে বস্তু। আরবরে সব গোত্র জান,ে তুমি আমাদরে সাথে যুদ্ধ করছে। তুমি যদি এ অবস্থায় জোরর্পূবক মক্কায় প্রবশে কর, তবে সব আরব গোত্রই জানব,ে আমরা র্দুবল ও অসহায় হয়ে পড়ছে।ি তখন সব আরব সম্প্রদায় আমাদরে এ ভূমি দখল করার জন্য প্ররোচতি হব।ে তোমার সঙ্গে আমাদরে যে আত্মীয়তার সর্ম্পক রয়ছে,ে তার কসম দয়িে বলছ,ি তোমার এ জন্মভূমি মক্কার যে র্মযাদা ও সম্মান রয়ছে.ে..”

সুহাইল এটুকু বলতইে মহানবী (সা.) তার কথায় ছদে ঘটয়িে বললনে : “তুমি কী বলতে চাও?” সে বলল : “কুরাইশ নতোদরে প্রস্তাব হলো : তুমি এ বছর মক্কায় প্রবশে না করে এখান থকেইে মদীনায় ফরিে যাও এবং পররে বছর উমরা করার জন্য এসো। মুসলমানরা আগামী বছর আরবরে অন্যান্য গোত্ররে মতই হজ্ব করার জন্য কাবা ঘরে আসতে পারব।ে তাদরে হজ্বরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণরে র্শত হলো তারা তনি দনিরে বশেি মক্কায় অবস্থান করতে পারবে না এবং সঙ্গে একটি তরবারি ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র বহন করতে পারবে না।”

মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সুহাইলরে আলোচনার ফলে মুসলমান ও কুরাইশদরে মধ্যে একটি ব্যাপক ও র্সাবকি চুক্তি সম্পাদনরে সুযোগ সৃষ্টি হলো। কন্তিু চুক্তরি র্শত নর্ধিারণ ও ধারা প্রণয়নরে ক্ষত্রেে সে বশে কঠোরতা অবলম্বন করছলি। কখনো কখনো তার প্রস্তাব এতটা অগ্রহণীয় ছলি য,ে তা সন্ধরি সম্ভাবনাই নাকচ করছলি। কন্তিু উভয় পক্ষই সন্ধরি পক্ষে থাকায় তা যাতে ছন্নি না হয়, সে চষ্টোও ছলি।

অধকিাংশ ঐতহিাসকি র্বণনামতে মহানবী (সা.) হযরত আলীকে চুক্তপিত্র লখোর নর্দিশে দনে। প্রথমে তনিি আমীরুল মুমনিীন আলী (আ.)-কে বলনে : “লখি : ‘বস্মিল্লিাহরি রাহমানরি রাহীম’” এবং আলী তা লখিলনে। কন্তিু সুহাইল বলল : “আমি এ বাক্যরে সাথে পরচিতি নই। ‘রাহমান’ ও ‘রাহীম’-কে আমি চনিি না; লখি : ‘বসিমকিা আল্লাহুম্মা’ র্অথাৎ ‘হে আল্লাহ্! তোমার নাম’ে।”

মহানবী (সা.) সুহাইলরে কথা মনেে নয়িে অনুরূপ লখিতে বললনে। এরপর মহানবী বললনে : “লখি : এ সন্ধচিুক্তি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ এবং কুরাইশ প্রতনিধিি সুহাইলরে মধ্যে সম্পাদতি হচ্ছ।ে” সুহাইল বলল : “আমরা তোমার রাসূল ও নবী হওয়ার বষিয়টি স্বীকার করি না। যদি তা স্বীকারই করতাম, তবে তোমার সাথে যুদ্ধ করতাম না। অবশ্যই এ বশিষেণ চুক্তপিত্র থকেে মুছে দয়িে নজিরে নাম ও পতিার নাম লখে।” রাসূল এ বষিয়টওি মনেে নবেনে ও তাকে ছাড় দবেনে, এ সময় কোন কোন মুসলমান তা চান ন।ি কন্তিু মহানবী একটি উচ্চতর লক্ষ্য সামনে রখে-েযা আমরা পরে উল্লখে করব: সুহাইলরে দাবী মনেে নয়িে হযরত আলীকে ‘আল্লাহর রাসূল’ শব্দটি মুছে ফলেতে নর্দিশে দলিনে। হযরত আলী অত্যন্ত সম্মান ও বনিয়রে সাথে বললনে : “হে আল্লাহর নবী! আপনার পবত্রি নামরে পাশে নবুওয়াতরে স্বীকৃতকিে মুছে ফলোর মতো অসম্মানরে কাজ করা থকেে আমাকে ক্ষমা করুন।” মহানবী হযরত আলীকে বললনে : “ঐ শব্দরে ওপর আমার আঙ্গুল রাখ। আমি নজিইে তা মুছে দইি।” আলী তা-ই করলনে এবং রাসূল স্বহস্তে তা মুছে দলিনে।

মহানবী (সা.) এ সন্ধচিুক্তি লখিতে যে ব্যাপক ছাড় দনে, বশ্বিরে ইতহিাসে তা বরিল। কারণ তনিি প্রবৃত্তরি তাড়না ও বষৈয়কি চন্তিার অনুর্বতী ছলিনে না এবং তনিি জানতনে, মহাসত্য কখনো লখো বা মোছার মাধ্যমে পরর্বিততি হয় না। তাই সন্ধরি ভত্তিি অটল রাখতে সুহাইলরে সকল কঠোর র্শত সমঝোতামূলক মনোভাবরে পরচিয় দয়িে মনেে নয়িছেনে।

ইতহিাসরে পুনরাবৃত্তি

মহানবীর শক্ষিালয়রে প্রথম ও শ্রষ্ঠে ছাত্র আমীরুল মুমনিীন আলী ইবনে আবি তালবিও অনুরূপ ইতহিাসরে শকিার হন। এ দৃষ্টতিে রাসূল (সা.)-এর মানস-প্রতবিম্বিকওে জীবনে অনকে ক্ষত্রেইে রাসূলরে অনুরূপ র্পযায়রে মুখোমুখি হতে হয়ছে।ে হযরত আলী রাসূলরে নাম মুছে ফলেতে অপারগতা প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলে তনিি তাঁর দকিে তাকয়িে তাঁর ক্ষত্রেওে যে অনুরূপ ঘটনা ঘটব,ে তার ভবষ্যিদ্বাণী করে বলনে : “হে আলী! এদরে উত্তরসূররিাও তোমাকে এরূপ করতে বলবে এবং তুমি তাদরে দ্বারা মযলুম হয়ে তা করতে বাধ্য হব।ে”  এ স্মৃতি আলী (আ.)-এর মনে সফ্ফিীনরে যুদ্ধরে পর জাগ্রত হলো যখন আলী (আ.)-এর সরল ও অদূরর্দশী সন্যৈরা ধােঁকায় পড়ে প্রতারতি হয়ে আলীকে সন্ধি করতে বাধ্য করল। যখন আলীর পক্ষে আবদুল্লাহ্ ইবনে আবি রাফে সন্ধপিত্রে লখিলনে, هذا ما تقاضى علیه أمیر المؤمنین على ‘আমরিুল মুমনিীন আলী যে বষিয়ে আহ্বান জানাচ্ছনে’, তখন মুয়াবয়িার পক্ষ থকেে নয়িোজতি প্রতনিধিি আমর ইবনে আস ও সরিীয় সন্যৈরা আপত্তি জানয়িে বলল : “আলী ও আলীর পতিার নাম লখি। কারণ আমরা যদি তাকে মুমনিদরে নতো মনে করতাম, তবে তার সঙ্গে কখনো যুদ্ধে লপ্তি হতাম না।”

এ ক্ষত্রেে বাক-বতিণ্ডা চলতে লাগল। হযরত আলী (আ.) চাচ্ছলিনে না এর মাধ্যমে নজিরে অদূরর্দশী সনৈকিরা নতুন বাহানা শুরু করুক। উভয় পক্ষ র্দীঘক্ষণ বর্তিক করছলি। অবশষেে তাঁর একজন সনোপতরি উর্পযুপরি অনুরোধে ‘আমরিুল মুমনিীন’ শব্দটি মুছে ফলোর অনুমতি দলিনে। এরপর বললনে : الله أکبر سنّة بسنّة “আল্লাহ্ মহান ও র্সবশ্রষ্ঠে। একই ধারার পুনরাবৃত্তি ঘটছ।ে” তনিি এও বললনে : “এটি রাসূল (সা.)-এর অনুসৃত রীতি এবং তাঁরই উদ্ধৃত।ি” এরপর হুদায়বয়িার স্মৃতচিারণ করলনে।

হুদায়বয়িার সন্ধ-ির্শত

এখন আমরা মহানবী (সা.) ও কুরাইশদরে মধ্যে সম্পাদতি চুক্তরি বভিন্নি র্শত উল্লখে করব :

১. কুরাইশ ও মুসলমানরা সমগ্র আরব ভূ-খণ্ডে সামাজকি নরিাপত্তা ও শান্তি স্থাপনরে লক্ষ্যে এ র্মমে প্রতশ্রিুতবিদ্ধ হচ্ছে য,ে দশ বছর একে অপররে সাথে যুদ্ধ করবে না ও পরস্পররে অধকিাররে ওপর হস্তক্ষপে হতে বরিত থাকব।ে

২. যদি কুরাইশদরে কউে তাদরে অভভিাবকদরে অনুমতি ছাড়া মক্কা থকেে পালয়িে যায় ও ইসলাম র্ধম গ্রহণ করে মুসলমানদরে অর্ন্তভুক্ত হয়, মুহাম্মদ অবশ্যই তাকে কুরাইশদরে কাছে ফরিয়িে দবেনে। কন্তিু যদি কোন মুসলমান মদীনা থকেে মক্কায় পালয়িে আস,ে কুরাইশরা তাকে মুসলমানদরে কাছে ফরিয়িে দতিে বাধ্য নয়।

৩. মুসলমান ও কুরাইশরা স্বাধীনভাবে যে কোন গোত্ররে সাথে চুক্তবিদ্ধ হতে পারবনে।

৪. মুহাম্মদ ও তাঁর সঙ্গীগণ এ বছর এখান থকেইে মদীনায় ফরিে যাবনে। কন্তিু পরর্বতী বছরগুলোয় স্বাধীনভাবে মক্কায় গয়িে হজ্ব বা উমরা পালন করতে পারবনে। তবে র্শত হলো এই য,ে তনি দনিরে বশেি মক্কায় অবস্থান করতে পারবনে না ও সঙ্গে সাধারণত একজন মুসাফরি যাত্রী যে ধরনরে তরবারি বহন কর,ে তা ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র বহন করতে পারবনে না।

৫. মক্কার মুসলমানরা এ চুক্তরি অধীনে মক্কায় স্বাধীনভাবে ইসলামী বধিান পালন করতে পারবনে এবং এক্ষত্রেে কুরাইশরা তাদরে বাধা দতিে পারবে না। তাঁদরে র্ধমান্তরতি করা ও মুসলমান হওয়ার কারণে তরিস্কার করতে পারবে না।

৬. চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় একে অপররে ধন-সম্পদ সম্মানতি মনে করবনে এবং বদ্বিষেমূলক দৃষ্টতিে পরস্পরকে দখেতে ও প্রতারণা করতে পারবনে না।

৭. যসেব মুসলমান মদীনা থকেে মক্কায় আসবনে, তাঁদরে জীবন ও ধন-সম্পদরে প্রতি সম্মান ও নরিাপত্তা দয়ো হব।ে

চুক্তপিত্র দু’টি ভন্নি পত্রে লখিতি হয়। এরপর কয়কেজন কুরাইশ ও মুসলমি প্রতনিধিি সাক্ষী হসিবেে তাতে স্বাক্ষর করনে। পরে তার একটি অনুলপিি মহানবী (সা.)-কে এবং অন্যটি সুহাইলকে দয়ো হয়।

স্বাধীনতার বাণী

এ চুক্তপিত্ররে র্পবে র্পবে স্বাধীনতা ও মুক্তরি বাণী প্রতধ্বিনতি হচ্ছ,ে যার অনুরণন প্রতটিি নরিপক্ষে ববিকেবান ব্যক্তরি কানইে পশব।ে কন্তিু সবচয়েে র্স্পশকাতর হলো দ্বতিীয় র্শত যা অনকেকইে ক্রোধান্বতি করছেলি। রাসূল (সা.)-এর কোন কোন সঙ্গী এ বষৈম্যমূলক র্শতে চরম অসন্তুষ্ট হয়ছেলিনে এবং এমন কছিু কথা বলছেলিনে, যা ইসলামরে নবী ও মহান নতোর প্রতি দৃষ্টকিটু ও সমালোচনামূলক। অথচ চুক্তপিত্ররে এ ধারাটি উজ্জ্বল এক শখিার ন্যায় আজো প্রজ্বলতি রয়ছে।ে এতে ইসলামরে প্রসার ও বস্তিাররে পদ্ধততিে মহানবী (সা.)-এর উন্নত চন্তিাধারার প্রতফিলন ঘটছেে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তরি মৌলনীতরি প্রতি ইসলামরে মহান নতোর অনর্বিচনীয় সম্মানরে প্রকাশ পয়েছে।ে

কোন কোন সাহাবীর এ আপত্তরি (‘কনে আমরা মুসলমানদরে ফরিয়িে দবে, অথচ তারা আমাদরে থকেে পালয়িে যাওয়া ব্যক্তকিে ফরিয়িে দতিে বাধ্য নয়’) জবাবে বলনে : “যে মুসলমান ইসলামরে পতাকার নচি থকেের্ শকিরে দকিে পালয়িে যায় এবং তাওহীদবাদী ইসলামরে পবত্রি পরবিশেরে ওপর মানবতার পরপিন্থীর্ শকিমশ্রিতি পরবিশেকে অগ্রাধকিার দয়ে, সুস্পষ্ট য,ে তার ঈমান সঠকি ভত্তিরি ওপর প্রতষ্ঠিতি হয় নি এবং সে মন থকেে ইসলামকে গ্রহণ করে ন।ি এরূপ কোন মুসলমান আমাদরে কোন কল্যাণে আসবে না। অন্যদকিে আমরা যদি আমাদরে কাছে আশ্রয়র্প্রাথী ব্যক্তকিে কাফরেদরে কাছে ফরিয়িে দইি, তা হলে আমার দৃঢ় বশ্বিাস আল্লাহ্ তার মুক্তরি পথ করে দবেনে।”

মহানবী (সা.)-এর দৃষ্টভিঙ্গি বুদ্ধবিৃত্তকি ও যুক্তসিম্মত ছলি। সময়রে পরক্রিমায় তাঁর গৃহীত ভূমকিার যর্থাথতা প্রমাণতি হয়। কারণ সময় না গড়াতইে কছিু ঘটনার পরপ্রিক্ষেতিে এ ধারাটরি মন্দ প্রভাব কুরাইশদরে ওপর পড়ল। ফলে তারা নজিরোই এ ধারা বাতলিরে আহ্বান জানালো। আমরা পরর্বতীতে তা নয়িে বস্তিারতি আলোচনা করব। (চলব)ে

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here