হুররিয়াত নেতাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে না: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

হুররিয়াত নেতাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে না: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

হুররয়িাত নতোদরে বচ্ছিন্নিতাবাদী কংিবা সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে না: ভারতরে সুপ্রমি র্কোট
http://parstoday.com/bn/news/india-i20191
কাশ্মিরের হুররিয়াত নেতাদের সম্পর্কে আদালতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলা যাবে না বলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। ওই নেতাদের পেছনে যে সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তাও বন্ধ করার জন্য আদালত নির্দেশ দিতে পারে না বলেও সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে। এ সংক্রান্ত আইনজীবী এম এল শর্মার দায়ের করার এক জনস্বার্থ আবেদন বুধবার সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।

আইনজীবী এম এল শর্মা সুপ্রিম কোর্টে তার পিটিশনে জানিয়েছিলেন, ‘সরকার ওইসব ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতার নিরাপত্তা, বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ইত্যাদিতে বছরে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে। যদিও ওই নেতারা সেই টাকা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করেন। তাই অবিলম্বে ওই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতাদের সুবিধা দেয়া বন্ধ করার জন্য সরকারকে আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দিক।’

শুনানি শেষে ওই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের সামনে কী কী, কতখানি বিপদ রয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকার, সেনাবাহিনী রয়েছে, এটা তাদেরই কাজ।’

শুনানি চলাকালে আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বিপদ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি কয়েকজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতার নামও তোলেন। কিন্তু বিচারপতি মিশ্র তাকে থামিয়ে বলেন, ‘আমি বা আমার সহকারী কেউই কোনও নাম নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নই।’

ওই আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি ইউ ললিতের সমন্বিত বেঞ্চ। তারা বলেন, ‘কাউকে ব্যাক্তিগতভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে হতেই পারে। তবে যতক্ষণ না সরকার ঘোষণা করছে, ততক্ষণ কোনো ব্যক্তি কাউকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে আখ্যা দিতে পারেন না। বিশেষত আদালতে এ ধরনের মন্তব্য করাই যায় না।’

আবেদনকারীর পক্ষ থেকে জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ  করায়ও আপত্তি তোলে আদালতের বেঞ্চ।

বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী কাজে কেউ গ্রেফতার হয়ে দোষী ঘোষিত না হলে আপনি কাউকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে পারেন না। এই আদালত এটা মেনে নেবে না।’

অভিযোগকারী আইনজীবীকে বিচারপতিরা জানতে চান, ‘হুররিয়াত নেতাদের কেন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে ডাকা হচ্ছে? সরকার কি তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে?’

হুররিয়াত নেতাদের পেছনে অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে আবেদনকারী আইনজীবী বার বার দাবি করেন, ‘আদালত গোটা বিষয় সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করুক।’ যদিও আদালত ওই আবেদন খারিজ করে সাফ জানিয়ে দেয়, তাদের কাজ সংবিধান ঠিকমত পালন করা হচ্ছে কী না তা দেখা।

প্রসঙ্গত, সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক, ইয়াসিন মালিক, আব্দুল গনি ভাটের মতো কাশ্মিরি নেতাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হয় সরকারকে। এ ছাড়াও তাদের সরকারি খরচে হোটেল, যাতায়াত, চিকিৎসা খরচও বহন করে সরকার। এ সবের জন্য সরকারের বছরে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।

সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই সুযোগ-সুবিধা বাতিলের কথা উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত ওই পদক্ষেপ নেয়া থেকে পিছু হটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির এ ধরণের ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও এ ধরণের পদক্ষেপে কাশ্মির উপত্যাকার পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে এখন মনে করা হচ্ছে।

হুররিয়াতের পক্ষ থেকে এ ধরণের জল্পনা প্রসঙ্গে পাল্টা মন্তব্যে বলা হয়, ‘নয়াদিল্লি চাইছে দেশের মানুষকে বোকা বানাতে। হুররিয়াতের দিকে আঙুল তুলে কাশ্মিরের আসল সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।’

গত ৭ সেপ্টেম্বর হুররিয়াত কনফারেন্সের মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের খবর প্রকাশ করা এক ধরণের রণকৌশল। যার উদ্দেশ্য হল, দেশবাসীকে কাশ্মিরের আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা। কাশ্মিরের প্রকৃত সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা।’

হুররিয়াতের ওই মুখপাত্রের মতে, ‘তথাকথিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রে’ কাশ্মিরবাসীদের ওপর প্রতিদিন অবর্ণনীয় অত্যাচার চলছে। এ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে নানারকম ফন্দি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৫

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here