মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায় পালিয়ে আসাই হলো প্রধান ভন্ডামো
মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের কারনে কিছু মুসলমানের মায়াকান্না দেখে খুবেই আশ্চার্য হই, তাদের মায়া কান্ন শুধু মাত্র মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ফেইসবুকে বসে বসে, আর কিছুুই না। কেউ কেউ আমাকে বলার চেষ্টা করছেন আমি কেনই বা মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরনির্যাতন নিয়ে আমার অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করছিনা।
তাদের সবাই কে বলছি শোনেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন ভন্ডামো পছন্দ করি না। সমর্থনও করি না।
বরং আমি মনে করি ওই দেশ থেকে মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায় পালিয়ে আসাই হলো প্রধান ভন্ডামো। মালিক মালিক আল্লাহ শুধু মাত্র মারা যাওয়া ফরয করেন নি। আর আপনারা এটা কোথাও দেখাতে পারবেন বলে মনে হয় না. তবে দেখাতে পারলে আমার জানা হতো। আমি জানি মালিক আল্লাহ আদেশ হল মার এবং মর। আমার প্রশ্ন কাপুরুষের মত মিয়ানমার থেকে কেনই বা মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পালিয়ে আসলো। তারা কি আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা কিছু নেয় নি। ১৯৭১ সালটি বাংলাদেশের মুসলিম সহ সকলের জন্য এক কঠিন সময় বাংলাদেশের অনেকে পালিয়ে পার্শ্ববতি দেশে আশ্রায় নিলেও অনেকে কিন্তু এই দেশটিকে স্বাধিন করার জন্য লড়াই করেছিল। কই সবাইতো পালিয়ে যায়নি। অথচ যারা পালিয়ে এসেসে তারা যদি কাপুরুষের মত না পালিয়ে মিয়ানমারের সৈনিক দের বিরুদ্ধে তাদের হাতে যা আছে তা নিয়ে মোকাবেলা করার চেষ্টা করতো তাহলে তাদেরকে নিয়ে সংবাদ লেখার মত কিছু থাকতো, একদল পালিয়ে আসা ভেড়ার জন্য কি লেখবো, আমার লেখার কোন ভাষা নেই , তারা টিপু সুলতান, তিতুমিরের হয়তো বা ইতিহাস জানেই না। তাই তাদের কে নিয়ে লেখার কোন কিছুই আছে বলে আমি মনে করি না।
এদিকে অমুসলিম দেশগুলো আপনি বাদেই দেন মুসলিম দেশগুলোর প্রধানরা কি ঔক্যবদ্ধ হতে পেরেছে এখন পর্যন্ত , না হতে পারেনি , তারা এখনো সিয়া, সুন্নি, আহলে হাদিস, তাবলিগ নিয়ে ব্যস্ত এরা কি করে, কে কার বিরুদ্ধে কত বদনা,ছড়াতে পারবে , আর ছড়াইলে সুনাম নিজের এবং নিজেকেই মনে করে ধন্য। আমি মনে করি এই হত্য গুলো হওয়ার পিছনে বিশেষ কিছু কারন আছে সামনে ইছা ইবনে মরিয়াম (আঃ) আসবেন। সে জন্যই নাম ধারি কিছু মুসলিম কে মালিক আল্লাহ হয়তো শহিদ করে দিয়ে সাহসি মুসলিমদেরকে ঔক্য বদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন