আজ আমার একজন বিশেষ মানুষের কথা মনে পড়লো,
আজ আমার একজন বিশেষ মানুষের কথা মনে পড়লো, যদিও আমি জানি তাকে আর কোন দিন দুনিয়াতে দেখতে পারবোনা , সে হারিয়ে গিয়েছে আমাদের মাঝ থেকে । আমার দৃষ্টি কোন থেকে সে ছিল পূণবান মানুষর মধ্য একজন, তিনি আমাকে তার লেখা একটি বই উপহার দিয়েছিলেন যেখানে তিনি নিজ হাতে কলম দিয়ে লিখে ছিলেন আমার প্রিয় মিতাকে , আর তার সাথে দেখা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন আমার এক শ্রদ্ধায় বড় ভাই ঢাকার বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত । তাকে নিয়ে কোন একটি জাতীয় পত্রিকায় যদিও আমি একটি লেখাও লেখেছিলাম।
মনে পড় আজ সেই দিনের কথা, সালটি সম্ভব্যত ২০০৬ সালের কোন একদিন হবে, ঢাকার বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত ভাইয়ের সহযোগিতায় তার কাছে যখন গিলাম , তার আগে বলিনেই আমি কিন্তু হয়তোবা তার নাতি পুতিদের বয়সের চেয়েও কম হব। অথচ আমাকে যে ভাবে অভ্যার্থনা করলো তা আমি আজ পর্যন্ত ভুলতে পারি নাই।
যে টুকু মনে আছে আজ আমি সেই টুকু লিখলাম, অসুস্থ্যার কারনে অনেক কিছুই আমার কিন্তু মনে নাই। আমি ৪-৫ বছর থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারনে অসুস্থ্য সে চাই হউক। আমি তার বাসায় যাওয়ার আগে হারুন ইবনে শাহাদাত ভাই তাকে টেলিফোনে বলেন , আমি সম্ভব্যব রিক্সা যোগে তার বাড়ির সামনে যাই । আমি রিক্সা থেকে নামিয়ে সম্ভ্যবত তার বাসার গেটের কাছে যেতেই এক ছেলে আমাকে বললেন আপনি কি গোলাম আযম রংপুর থেকে এসেছেন, আমি বললাম জ্বি,তিনি আমাকে লিফটের মাধ্যমে উপরে নিয়ে গেলেন , আমি সেখানে গেলে সম্ভ্যবত আর এক ব্যক্তি এসে বললেন আপনি কি গোলাম আযম আমি যখন বলাম জ্বি, তখন তিনি আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গেলেন আমি ওই ঘরে বসলাম, দেখলাম তার ঘরে এত বই , তার প্রতি শ্রদ্ধা তখন আরোও অনেক বৃদ্ধি পেল, আমি সরাসরি জীবনের প্রথম তাকে কাছ থেকে দেখছি, তিনি এতবড় মাপের মানুষ সেদিন তার কাছে না গেলে হয়তো কোন দিন জানতেই পারতাম না। সে যাই হউক। তিনি আমার কাছে এসে সালাম বিনিময় করলেন , আমার খুবেই ভাল লেগেছিল তার মুখের হাসির সঙ্গে সুন্দর সুন্দর কথা বলার কারনে, তিনি আমার ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে পারিবারিক সব বিয়য়ে খুজ নিলেন, আমি তার কাছে সম্ভ্যবত ৪০-৪৫ মিনিট ছিলাম , আর আমার সেই সময় মনে হয়েছিল তিনি মহান আল্লাহর কোন এক বিশেষ ব্যক্তি। আজি তিনি বেঁচে নেই , চলে গেছেন মহান আল্লাহর কাছে। ইচ্ছা থাকলো তাঁকে আর কোন দিনই দেখতে পারবো না। তার সঙ্গে দেখা করার পরে বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত ভাইয়ের সাথে দেখা করে, আমি আমার বাবর কাছে গিয়ে বলি । সবচাই বড় কথা আমার বাবাও আজ আল্লাহর কাছে চলে গেছেন, আমার বাবও তাকে খুবেই শ্রদ্ধা করতে , ভালবাসতেন তিনি ঢাকায় চাকুরির করার কারনে মাঝে মধ্যে তার বাড়ির সামনে মসজিদে নামায পড়তেন তার সাথে কথা বলার জন্য। আজ দুই জনেই হারিয়ে গিয়েছে আমি দুই জনের জন্য দোওয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাদের দুই জনেই রক্ষক হয়ে যান কবর এবং কিয়ামতের দিনের । সবচাইতে খারাপ কথা হল কয়েকদিন আগের কয়েকটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে যখন জানতে পাড়লাম তাকে কোন এক ব্যক্তি হত্যার উদ্দ্যেশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ছিল ,কোন এক সময় কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি সেই সময় বেঁচে গিয়েছিল। তবে মজার বিষয় হল যে হত্যার জন্য গুলি ছোড়েছিল
সে কিন্তু আজ মারা গেছেন। ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন