বাংলাভাষাভাষী মুসলমানদেরকে প্রতারনার মাধ্যমে গিলানো হচ্ছে পুরাতন বাইবেলর আলোকে নির্মিত বাংলায় ডাবিং কৃত নবীদের মুভি।
ইউটিউবে নবীদের নাম লিখি সার্চ দিলে বিভিন্ন নবীদের জীবনী নিয়ে তৈরি কৃত মুভি দেখা যায় । ভিডিওগুলো যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে কত কৌশলে পুরাতন বাইবেলের ঘটনাগুলো নিয়ে নির্মিত মুভি , কিন্তু সাধারন মুসলমানরা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে না। তবে যাদের মাথায় কুরআন এবং হাদিসের জ্ঞান আছে তারাই শুধু মাত্র বুঝতে পারবে কিভাবে ভিডিওগুলো তৈরি করে ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া হযরত ইব্রাহীম(আঃ) কে নিয়ে নির্মিত সিনেমায় দেখানো হয়েছে কুরবানী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে হযরত ইসহাক (আঃ) কে অথচ মুসলমানরা বিশ্বাস করেন হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানী দিতে বলেছিলেন মহান আল্লাহ। এদিকে ইব্রাহীম (আঃ) ২ জন স্ত্রীকে দেখানো হয়েছে বেপার্দা চলাচল করতে। যা মুসলমানদের জন্য চরম ক্ষতিকর। কারন মুসলমানরা বিশ্বাস করেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) হলেন মুসলমানদে জাতীর পিতা। এখানে জমজম কুপের কোন ঘটনা দেখানো হয়নি। সাধারন মুসলমানরা এসব দেখে মনে করবে এগুলো মুসলমানরা তৈরি করে ছেড়ে দিয়েছে। অথচ মুসলমানদের সাথে করা হয়েছে প্রতারনা। কারন নবীদের নামগুলো সরাসরি মুসলমানরা যে ভাবে জানে ঠিক সেই ভাবে প্রচার করা হয়েছে।
অন্য দিকে হযরত ইসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) এর ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। হযরত নুহ (আঃ) এর ক্ষেত্রে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন নুহ (আঃ)এর নৌকায় তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও আরো কিছু ঈমানদারকে নৌকায় তুলেছিলেন। অথচ মুভিতে দেখানো হয়েছে তিনি মুলত তার পরিবারের লোকজনকে নিয়েছিলেন । এভাবে ছলনার মাধ্যমে মুসলমানরা যে নামে নবীদেরকে চেনেন ঠিক সেই নাম ব্যবহার করে পুরাতন বাইবেলের ইতিহাস প্রচার করা হচ্ছে যা একে বারেই প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না।
ইসমাইল (আঃ) এর ঘটনাসম্পর্কে মুসলমানরা জানেন তিনি হযরত হাজরা (আঃ) তাকে বড় করেন অথচ মুভিতে দেখানো হয়েছে ইসমাইল (আঃ) হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এবং হযরত সারা (আঃ) এর কাছ থেকে বড় হয়েছেন। যা একেবারেই মুসলমানদের বিশ্বাসে চরম আঘাত করা হয়েছে। মুভি গুলো বাংলা ছাড়াও অন্যভাষায়ও দেখা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন